ভুয়ো পরিচয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে একাধিক মহিলার সাথে বিয়ে, অবশেষে প্রতারিত ধরা পড়ল পুলিশের জালে
দক্ষিণ দিনাজপুর ১৭ জানুয়ারিঃ সেনা পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে ফাঁদ পেতে, একাধিক মহিলাকে বিয়ে করা প্রতারক যুবককে, ফেসবুকের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে ধরল প্রতারিত দ্বিতীয় স্ত্রী। একের পর এক বিয়ে করে মেয়েদের, কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিতে ওস্তাদ ওই যুবককে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট করে বিয়ের প্রলোভনে আসাম থেকে ডেকে এনে, পুলিশের হাতে তুলে দিলো দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন আসামের বাসিন্দা দীপক শর্মা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালুরঘাট থানার পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই যুবক আদতে সেনাকর্মী কিনা অথবা ঠিক কতগুলো বিয়ে করেছে, সেই তদন্ত শুরু হয়েছে।প্রতারিত ওই মহিলার অভিযোগ, দীপক ফেসবুকের মাধ্যমেই ফাঁদ পেতে বিভিন্ন মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে। তারপর তাদের কাউকে সেনাকর্মী, কাউকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে, বিয়ে করে। পরবর্তীতে ওই মেয়েদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে চম্পট দেয়। আসামে ওই যুবকের নিজস্ব স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে রয়েছে। সেই কথা গোপন রেখেই একের পর এক মেয়েকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে চলে ওই যুবক। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি ও মালদার আরো একজন মেয়েকে বিয়েও করেছে। তাদেরকেও প্রতারণা করে ওই যুবক পালিয়ে ছিল। অভিযোগকারী মহিলা জানান, ২০১৬ সালে ফেসবুকে পরিচয়ের পর আমাকে সেনা কর্মী ও অবিবাহিত বলে জানায় সে। তারপর বাড়ির অমতে পালিয়ে বোল্লাকালী মন্দিরে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর আমাকে শিলিগুড়িতে ভাড়াবাড়িতে রেখেছিল।এমনকি কিছুদিন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা তে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যখন জানি ওই যুবক একজন প্রতারক, তখনই সে টাকার দাবি করে বসে। আমার বাবা তাকে দু লক্ষ টাকা দেয়ও। কিন্তু টাকা পেতেই, সংসার করার বদলে আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজ করে অবশেষে ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট করে তার সাথে যোগাযোগ করে, তাকে বিয়ের টোপ দিয়ে আসাম থেকে বালুরঘাটে নিয়ে আসি। এরপর বালুরঘাট থানায় অভিযোগ জানালে, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রতারক স্বামীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী।